বিজ্ঞান কি- কিভাবে বিজ্ঞানের সৃষ্টি
বিজ্ঞান হলো একটি ধারণামূলক প্রক্রিয়া যা আমাদের প্রাকৃতিক ও সমাজজীবনের বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে অনুসন্ধান, বোঝার এবং ব্যাখ্যা করে।
এটি পরীক্ষা করে, পরীক্ষা করে এবং বিশ্লেসণ করে সত্যতা বুঝতে আমাদের সাহায্য করে। বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা বহুধা প্রযুক্তি, চিকিৎসা, পরিবেশ, সমাজ এবং বিশ্বজীবনের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারি। বিজ্ঞানের সৃষ্টি সম্পর্কে নয়নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক সংশোধন গবেষণা করা হয়েছে।
যেভাবে বিজ্ঞানের উৎপত্তি
বিজ্ঞানের উৎপত্তি একটি অত্যন্ত রোমাঞ্চকর এবং গবেষণাধর্মী প্রক্রিয়ার ইতিহাস যা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসে। মানুষের ক্যারিয়ারে এই বিজ্ঞানের উত্থান এবং অগ্রগতি একটি অসীম গবেষণাধর্মী ইচ্ছার প্রতিফলন।
১. বিজ্ঞানের প্রাথমিক অধ্যয়ন: প্রাচীন মানব সভ্যতার সাথে সাথে মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অধ্যয়ন শুরু হয়। প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকরা, যত্ন, অবধারণা এবং তাদের প্রযুক্তির কৌশলের মাধ্যমে বিশাল ধারণাগুলি উৎপন্ন করেন। প্রাচীন ভারত, চীন এবং আরব সভ্যতাও বৃহত্তর ধারণাগুলি উৎপন্ন করে।
২. বিজ্ঞানের উৎপত্তি এবং বিকাশ: বিজ্ঞানের উৎপত্তি এবং বিকাশের ইতিহাসে বিভিন্ন মূল দক্ষতা রয়েছে। প্রাচীন যুগে, গবেষণা হয়েছিল প্রাথমিক অবস্থায়, মানুষ প্রাকৃতিক প্রকৃতির অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে যে ঘটনা বা পদার্থের কারণ বোঝতে চেষ্টা করে।
এই ধারণাগুলির মধ্যে থেকে, বিজ্ঞানীগণ প্রথম ধাপে প্রায়শই অবধারণা গ্রহণ করেন এবং এই অবধারণাগুলির পরীক্ষা এবং পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের বিশ্লেষণ করেন। এই বিজ্ঞানীগণ সময় অনুযায়ী পরীক্ষামূলক অনুসন্ধান পরিচালনা করেন, যার ফলে বৃহত্তর জ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতি হয়।
৩. বিজ্ঞানের বিকাশ এবং বিপর্যয়: বিজ্ঞানের বিকাশ স্বাভাবিকভাবেই অস্তিত্বের সাথে সাথে বিপর্যয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিজ্ঞানীদের গবেষণা ফলে একাধিক অবশ্য স্বাভাবিকভাবে বিপর্যয় উত্পন্ন হতে পারে, এবং এটি প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরিণামস্বরূপে আমাদের সমাজে পরিবর্তনের অনেক কারণ হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, বিজ্ঞানের উৎপত্তি এবং বিকাশ মানব সভ্যতার উন্নতির মূল ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করে, এবং এটি আমাদের প্রাচীন সভ্যতার অতিরিক্ত বৃদ্ধি এবং সামর্থ্যের অধিকারী করে নেয়। বিজ্ঞানের প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে মানব সমাজে অনেক প্রতিযোগিতামূলক উন্নতি ও নতুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরো পড়ুন : বিশ্বব্যাপী মহাকাশের সমস্ত বস্তু ও ঘটনা
বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রধান অবদানকারী
বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রধান অবদানকারী নির্ধারণ করা খুবই সহজ নয়, কারণ বিজ্ঞানের প্রগতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকের যোগদানের ফলাফল। তবে, কিছু প্রধান নাম ও তাদের অবদান উল্লেখ করা যায় যেমন:
১. আরিস্টটল: বিজ্ঞানের ইতিহাসে আরিস্টটলের অবদান অপরিসীম। তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবীণতা প্রদর্শন করেন, যেমন নীতি বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান ইত্যাদি। আরিস্টটলের বৃহত্তর প্রভাব দেওয়ার জন্য তিকবেশি বিশেষ করে বিজ্ঞান প্রগতির প্রক্রিয়াতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
২. গ্যালিলিও গ্যালিলে: গ্যালিলিও আধুনিক বিজ্ঞানের প্রবর্তনকারী ছিলেন। তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ প্রদর্শনের পদক্ষেপ তার কার্যকর অবদানের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। গ্যালিলিও নকশা দেওয়ার জন্য গণিতের ব্যবহার এবং পৃথিবীর গতিবিজ্ঞানের নতুন ধারণা তার সাথে সাথে বিজ্ঞানে একটি পার্থক্যকারী পরিবর্তন নিয়ে আনেন।
৩. আইনস্টাইন: আইনস্টাইনের সাধারণ প্রবন্ধ 'E=mc^2' বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় অবদান। এই সমীকরণ পরিবর্তনশীল তাপ এবং পদার্থবিজ্ঞানের ধারণাগুলি নিয়ে নতুন দিকে নিয়ে গেল। তার সাধারণ বিস্তারিত সম্পর্কের অধ্যয়ন বিজ্ঞানের মধ্যে একটি বৃহত্তর ধারণা উৎপন্ন করেছে।
৪. দার্বিন: প্রাচীন ও আধুনিক বিজ্ঞানের ইতিহাসে, চার্লস দারবিনের নাম অন্যত্র পাওয়া যায় না। তার অনুসন্ধান জীববিজ্ঞানের পরিবর্তনশীল ধারণাগুলির উৎপত্তি করেছে, যা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পরিবর্তনে অগ্রগতিকে প্রয়োজনীয় উত্তরণ প্রদান করে।
এই প্রধান অবদানকারীদের বাহ্যিক অবদানের সাথে সাথে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ওই অবদানকে বাড়ানোর জন্য পরকালে পরিশ্রম করেন। বিজ্ঞানের ইতিহাস একটি সংগ্রাম এবং পরবর্তী প্রগতির চিহ্নিত সময়গুলির সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।
বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য
বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হলো প্রকৃতির সমস্যা ও মূল্যায়নের সঠিক বোধগম্যতা অর্জন করা। এটি আমাদের প্রকৃতির কার্যত এবং কারণের বোধগম্যতা বৃদ্ধি করে এবং সমস্যার সমাধান করার জন্য নতুন পথ খুঁজে বের করে।
বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াতে তথ্য এবং বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা। এটি নতুন ধারণা তৈরি করে, পুরানো ধারণা নিরীক্ষণ করে এবং পরীক্ষা করে তাদের সঠিকতা ও বৈজ্ঞানিকতা নিশ্চিত করে।
এটি নতুন প্রযুক্তির ডিজাইন এবং উন্নয়নে সাহায্য করে, যা নতুন সমস্যা সমাধানে অবশ্যই প্রয়োজন।
বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হলো প্রয়োগ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব জীবনের অগ্রগতি করা, যেখানে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, পোষণ, শিক্ষা, পরিবহন, অবকাঠামো, ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিহার্য।
এছাড়াও, বিজ্ঞান মানব সভ্যতার অগ্রগতি এবং সংবিধানে প্রয়োগ করা যে নতুন তথ্য, নতুন প্রয়োগ এবং সম্পর্কে অধিক জানতে সাহায্য করে। অভিজ্ঞতা ও অনুশীলনের মাধ্যমে বিজ্ঞান তথ্যের বৃদ্ধি করে এবং মানুষের বুদ্ধির সীমা পার করে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
সুতরাং, বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হলো প্রকৃতির সমস্যা ও মূল্যায়নের সঠিক বোধগম্যতা অর্জন করা এবং সমাধানে প্রযুক্তির সৃষ্টি করা। এটি মানব সমাজের অগ্রগতি, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য একটি প্রধান উপায়।
বিজ্ঞানের প্রধান অংশ
বিজ্ঞান একটি বিশাল ক্ষেত্র, যেখানে বহু ধর্মের গবেষণা এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা পৃথিবী এবং এর উপগ্রহের প্রকৃতি, স্থিতিশীলতা, জীবজন্তু, মানুষ, প্রযুক্তি, মহাবিশ্ব এবং প্রাণী সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান অর্জন করি। বিজ্ঞানের প্রধান অংশ প্রায় সারা পৃথিবীতে সংঘবদ্ধ বিশাল কিছু বিভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে, যা হল:
১. প্রাকৃতিক বিজ্ঞান: যা পৃথিবীতে ঘটনা ঘটা প্রকৃতির নিয়ম এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পরীক্ষা করে। এর অন্তর্গত বিভাগ হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, খাদ্যবিজ্ঞান, জৈব রসায়ন, গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, খনি বিজ্ঞান, ভূ-বৌদ্ধিক বিজ্ঞান ইত্যাদি।
২. প্রযুক্তি বিজ্ঞান: যা প্রযুক্তির উন্নতি এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর বিবেচনা করে। এর অন্তর্গত বিভাগ হলো কম্পিউটার বিজ্ঞান, ইলেক্ট্রনিক্স, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিমাপ বিজ্ঞান, প্রকৌশল ইত্যাদি।
৩. পরিবেশ বিজ্ঞান: যা পরিবেশের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অনুসন্ধান করে, যেমন জল, বায়ু, ভূমি ইত্যাদি।
আরো পড়ুন : মানুষের মস্তিষ্ক কি-এটি কিভাবে কাজ করে
৪. আমাদের বুদ্ধিজীবিত: যা মানুষের মানসিক প্রক্রিয়া, মনের স্বাস্থ্য, মানসিক রোগ ইত্যাদি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে।
৫. চিকিৎসা বিজ্ঞান: যা রোগের প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে অনুসন্ধান করে।
৬. মানবিক সমাজবিজ্ঞান: যা মানব সমাজ এবং মানব সমাজের নিয়ম এবং ব্যবস্থার প্রভাব সম্পর্কে অনুসন্ধান করে।
এই সমস্ত বিভাগে অনেক পুরোহিত বিশেষ গবেষণা কাজ চলছে, যা মানব সমাজের উন্নতি এবং পরিবেশের সংরক্ষণে সাহায্য করতে পারে।
বিজ্ঞানের উন্নতির পেছনে যে যে প্রবৃদ্ধি রয়েছে
বিজ্ঞানের উন্নতির পেছনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, যা প্রায় প্রত্যেক দিনে আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিকে প্রভাব ফেলছে। নিচে কিছু প্রধান প্রবৃদ্ধি তালিকাভুক্ত করা হলো:
১. নেউরোসায়েন্স ও রোবোটিক্স: মানুষের মতো আবদ্ধভাবে চিন্তা করতে এবং কাজ করতে সক্ষম রোবোট তৈরি করার প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। এটি সাধারণত মেডিসিনে, প্রোডাকশনে, ও অনুসন্ধানে ব্যবহার করা হয়।
২. জেনেটিক্স এবং বায়োইনফরমেটিক্স: জেনেটিক্স ও বায়োইনফরমেটিক্সের অগ্রগতি হতে পারে রোগের চিকিৎসা, খাদ্যের উন্নতি, ও জীবজন্তু প্রযুক্তির নতুন অবস্থান।
৩. ন্যানোটেকনোলজি: ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে আমরা অনেক ছোট মাত্রার উপাদান ব্যবহার করে প্রযুক্তিগত নতুন পণ্য বা উপাদান তৈরি করতে পারি, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, যেমন ইলেকট্রনিক্স, কেমিস্ট্রি, ও মেডিসিনে।
৪. কোয়ান্টাম কম্পিউটিং: কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা সাধারণ কম্পিউটিং থেকে অনেক দ্রুত গণনা করতে পারি, যা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
৫. পরিসংখ্যান ও মেশিন লার্নিং: পরিসংখ্যান এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ডেটা থেকে তথ্য উত্তোলনে ও নতুন প্রেডিকশন তৈরি করতে পারি, যা ব্যবসায়, মেডিসিনে, ও বিজ্ঞানে প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে।
এই প্রবৃদ্ধিগুলি সমৃদ্ধ এবং বিশেষভাবে সমাজের উন্নতির দিকে প্রভাব ফেলেছে। এগুলি সমাজের সাধারণ জীবনে এবং বিশেষত স্বাস্থ্য ও পরিবেশে গুণগত পরিবর্তন এনেছে।
বিজ্ঞানের কিছু প্রধান শাখা
বিজ্ঞান একটি বিশাল অধ্যায়, যা মানুষের সমস্থ পরিবেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাপারে জ্ঞান আদান প্রদান করে। বিজ্ঞান বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে থাকে যা মূলত তার গবেষণা এবং অনুশীলনের বিভিন্ন বিষয়ে ভিত্তি করে। নিচে কিছু প্রধান বিজ্ঞানের শাখা উল্লেখ করা হল:
১. পদার্থবিজ্ঞান (Physics): পদার্থবিজ্ঞানে দৃশ্য বা অদৃশ্য পদার্থের গবেষণা ও তাদের গতিবিদ্যা নিয়ে অধ্যয়ন করা হয়। এটি দীপ্তিবিদ্যা, অণুবিজ্ঞান, কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদির অন্তর্ভুক্ত থাকে।
২. রসায়নবিজ্ঞান (Chemistry): এটি পদার্থ, তাত্ত্বিক গঠন, বর্তমান ও সামগ্রিক বৈচিত্র্য, বস্তুকাঠিন্য, বিভিন্ন পদার্থের সম্পর্ক, আমস্ত্র ও প্রযুক্তি, পরিমাণ রসায়ন, ইত্যাদি অনুশীলন করে।
৩. জীববিজ্ঞান (Biology): জীবজন্তু, উদ্ভিদ, পারাস্পরিক সম্পর্ক, জীবনপ্রক্রিয়া, জীবাণুবিজ্ঞান, জীবপর্যায়ের অধ্যয়ন ইত্যাদি এই শাখার অধিকাংশ বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৪. গণিত (Mathematics): গণিত হলো সংখ্যা, পরিমাপ, গঠন, পর্যায়বৃত্তি, স্পেস, এবং গণিতীয় অভিবিজ্ঞানের গবেষণা।
৫. ভূতবিজ্ঞান (Earth Science): ভূতবিজ্ঞানে ভূমির অধ্যয়ন, ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন, জলাশয়, ভূমির গঠন এবং ভূমিকে প্রভাবিত করা উপগ্রহগুলির অধ্যয়ন করা হয়।
৬. প্রাণী বিজ্ঞান (Zoology): প্রাণীগণ, তাদের বৈশিষ্ট্য, উদ্ভিদ, প্রাণী বন্ধুত্ব, জীবপ্রযুক্তি, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৭. উদ্ভিদবিজ্ঞান (Botany): উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য, বৃক্ষ, উদ্ভিদ গবেষণা, উদ্ভিদ প্রযুক্তি, ইত্যাদি এই শাখার অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৮. অধ্যায়ন বিজ্ঞান (Environmental Science): পরিবেশ বিজ্ঞানে বিভিন্ন পরিবেশ পরিবর্তন, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশের অধ্যয়ন ও তার সংরক্ষণ, জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এই ছয়টি মৌলিক বিজ্ঞানের সাথে আরও অনেক উপশাখা এবং অন্যান্য বিজ্ঞানিক অধ্যায় যুক্ত থাকে, যেমন সামাজিক বিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, আইন ও নীতিবিজ্ঞান, গবেষণা পদ্ধতি, ইত্যাদি। প্রত্যেকটি শাখা আরও বিস্তারিত এবং গবেষণাধর্মী উন্নতির জন্য প্রচুর সম্ভাবনা সঙ্গে থাকে।
মানুষের জীবনে বিজ্ঞানের মাধ্যমে যে যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে
বিজ্ঞানের উন্নতি মানুষের জীবনে অবিরাম পরিবর্তন আনেছে, এটি অনেক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো:
১. চিকিৎসা ও ঔষধ উন্নতি: বিজ্ঞানের প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা ও ঔষধের উন্নতি হয়েছে অত্যন্ত উন্নত স্তরে। নতুন ঔষধ উত্পাদন, চিকিৎসার পদ্ধতির উন্নতি, রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি মানুষের স্বাস্থ্যে অগ্রগতি নিয়েছে।
২. পরিবহনে বিজ্ঞানীয় উন্নতি: পরিবহনে বিজ্ঞানীয় উন্নতির ফলে মানুষ আরও দ্রুত, সুরক্ষিত ও সহজেই ঘুরতে পারছেন। মডেল গাড়ি, ট্রেন, বাস, বাইক ইত্যাদি বিজ্ঞানের উন্নত প্রযুক্তির ফলে আরও উন্নত হয়েছে।
৩. পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র্য সংরক্ষণ: বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উন্নতি এনেছেন। পরিবেশের রক্ষায় নতুন প্রযুক্তি, পরিবেশে ক্যালমিটিমেট ব্যবহার ইত্যাদি মানুষের পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করেছে।
৪. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতি: বিজ্ঞানের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে অবস্থান ও সময়ের সীমার বাইরে মানুষের জীবনে অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। ইন্টারনেট, মোবাইল কমিউনিকেশন, সোশ্যাল মিডিয়া, ই-কমার্স সহ বিভিন্ন প্রযুক্তির উন্নতি মানুষের জীবনে অগ্রগতি নিয়েছে।
৫. খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহে উন্নতি: বিজ্ঞানের মাধ্যমে খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহে উন্নতি হয়েছে। জৈব প্রযুক্তি, প্রস্তুতির পদ্ধতির উন্নতি, খাদ্য উত্পাদনের বৃদ্ধি ইত্যাদি মানুষের জীবনে অগ্রগতি নিয়েছে।
বিজ্ঞানের অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেও মানুষের জীবনে অবিরাম পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তনের ফলে মানুষের জীবন আরও সুবিধাজনক, উন্নত ও সুরক্ষিত হয়েছে।
ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের ভূমিকা কী
বিজ্ঞানের ভবিষ্যতে অনেক সম্ভাবনার জীবন আছে, যা আমাদের বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনে দিতে পারে। এই পরিবর্তনের মধ্যে নিম্নলিখিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে:
১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতি: বিজ্ঞানের আরও উন্নত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের দুনিয়াকে পরিবর্তন করবে। আরও গভীরভাবে সংযোগস্থল থেকে ডেটা উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাত করা হবে, যা নতুন পরিস্থিতি বোঝার সুযোগ দেবে।
২. বায়োতেকনোলজি ও আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞান: বায়োতেকনোলজি এবং আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানব স্বাস্থ্য এবং পরিবেশে গভীরভাবে প্রভাবিত হবে। নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি, রোবটিক সাহায্য, জৈব উৎপাদনের বৃদ্ধি, সাথে জীবজন্তু ও পৌঁছে যাওয়া প্রাণীগুলির সংখ্যা এবং প্রকৃতির সংরক্ষণ এই সম্পূর্ণ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।
৩. রোবোটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: রোবোটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সম্ভাব্য উদাহরণ। এই প্রযুক্তি মানব কর্মসংস্থান এবং প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে, যা আমাদের সমাজে পরিবর্তন এনে দিবে।
৪. ন্যূরো-সায়েন্স এবং সনাক্তব্যবিজ্ঞান: ন্যূরো-সায়েন্স ও সনাক্তব্যবিজ্ঞানের অগ্রগতি মানব মনোস্থিতি, মনোযোগ ও মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিয়ে আনতে পারে। এটি সমস্যাগুলি চিকিৎসা করার নতুন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করতে পারে, যা আমাদের সামাজিক ও মানবিক জীবনে গভীরভাবে প্রভাবিত হবে।
৫. পরিবেশ বিজ্ঞান ও পরিবেশ সংরক্ষণ: পরিবেশ বিজ্ঞান এবং পরিবেশ সংরক্ষণের পরিষেবা বিস্তৃত হতে থাকবে। পরিবেশের সংরক্ষণ এবং পরিবেশের উন্নতি জনগণের সামর্থ্যের একটি অতুলনীয় অংশ হবে।
এই সব পরিবর্তনের সমন্ধে বিজ্ঞানীদের এবং সমাজের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে যেটি নতুন প্রযুক্তিগত সৃষ্টিতে নতুন সমস্যার সমাধানে সহায়তা করতে পারে।
শেষকথা
বিজ্ঞান সম্পর্কে সম্যক ধারনা সকলেরই থাকতে হবে।
0 Comments