স্মাট ফোন দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন-জেনে নিন ৯টি উপায়

 

স্মাট ফোন দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন-জেনে নিন ৯টি উপায়

অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। তবে এখন যেহেতু স্মাট ফোন সবার হাতে হাতে রয়েছে সেহেতু ইনকাম করার বড় মাধ্যম হতে পারে আপনার স্মাট ফোন। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক স্মাট ফোন দিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়।

ব্লগিং করে

স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্লগিং করা খুবই সহজ এবং সম্ভব। নিচে দেখানো হলো কিভাবে আপনি আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার করে ব্লগিং করতে পারেন:

 ১. ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন: প্রথমে আপনার ব্লগ লেখার জন্য একটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন। উদাহরণস্বরূপ, WordPress, Blogger, Medium ইত্যাদি পরিচিত ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।

 ২. অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা সাইন ইন করুন: প্ল্যাটফর্মে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা আপনার ইতিমধ্যে থাকা অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।

 ৩. পোস্ট লেখা: নতুন পোস্ট লেখার জন্য "নতুন পোস্ট" বা সম্মিলিত বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনি লেখা শুরু করতে পারেন।

 ৪. ছবি যুক্ত করুন: আপনার পোস্টে ছবি যুক্ত করার জন্য আপনি স্মার্টফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন, অথবা আপনার গ্যালারি থেকে ছবি আপলোড করতে পারেন।

 ৫. টেক্সট সিদ্ধান্ত করুন: পোস্টের প্রধান আংশটি লিখুন, আপনার মতামত বা তথ্য যুক্ত করুন।

 ৬. পোস্ট প্রকাশ করুন: আপনার পোস্ট সম্পন্ন হলে, একটি শিরোনাম এবং বিস্তারিত বর্ণনা যুক্ত করুন এবং "প্রকাশ" বা "পোস্ট করুন" বাটনে ক্লিক করুন।

 ৭. সম্পাদনা এবং আপডেট: পোস্ট প্রকাশের পরে আপনি প্রয়োজনে সম্পাদনা করতে পারেন এবং নতুন তথ্য অ্যাড করতে পারেন।

 ৮. সাম্প্রতিক হালনাগাদ: আপনি যদি পোস্ট করার পরে সাম্প্রতিক হালনাগাদ করতে চান, তাহলে আপনি অনুবাদ, সাজানো এবং আপডেট করতে পারেন।

 এইভাবে, স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করতে পারেন। তবে, লেখার জন্য সঠিক আকারের কীবোর্ড এবং মোবাইল ব্লগিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা উচিত।

 

ছবি তুলে

আপনি ছবি তুলে আয় করতে চান তাহলে অনেক উপায় রয়েছে যেমন -

 ১. ইউটিউব: আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে স্মার্টফোনে তোলা ছবিগুলি আপলোড করতে পারেন। এর জন্য আপনার ছবিগুলির সাথে ইন্টারেস্টিং ভিডিও, টিউটোরিয়াল বা কোনও ইনফরমেটিভ ভিডিও তৈরি করা যেতে পারে। ইউটিউব পার্টনারশিপের মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিও থেকে আয় করতে পারেন।

 ২. স্টক ফটো সাইট: আপনি ছবিগুলি স্টক ফটো সাইটে আপলোড করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই সাইটগুলিতে ছবির সংগ্রহ করা হয় এবং প্রতিটি ডাউনলোডের জন্য আপনাকে টাকা দেওয়া হয়। কিছু জনপ্রিয় স্টক ফটো সাইট হলো Shutterstock, Adobe Stock, ইত্যাদি।

 ৩. ফটো সেলিং অ্যাপ্লিকেশন: আপনি আপনার ছবিগুলি ফটো সেলিং অ্যাপ্লিকেশনে আপলোড করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ হলো Foap, EyeEm, ইত্যাদি।

 ৪. ওয়েবসাইটে আপনার ছবি বিক্রি করুন: আপনি নিজের ওয়েবসাইটে গ্যালারি তৈরি করে আপনার ছবিগুলি বিক্রি করতে পারেন। এটি আপনাকে স্বাধীনতা দেয় এবং আপনি নিজের মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন।

এই মাধ্যমে স্মার্টফোনে তোলা ছবি দিয়ে আপনি আয় করতে পারেন। আপনার ক্ষমতা, সময়, এবং ইচ্ছামতো মাধ্যম বেছে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন :  কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখবেন

অ্যাপ ডেভেলপ করে

স্মার্টফোনে অ্যাপ ডেভেলপ করে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলি হতে পারে:

১. বিজ্ঞাপন ইনকাম: আপনি আপনার অ্যাপে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন এবং এর বিজ্ঞাপন দ্বারা ইনকাম উপার্জন করতে পারেন। আপনি Google AdMob, Facebook Audience Network, বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন।

 ২. পেইড অ্যাপ বা সাবস্ক্রিপশন: আপনি আপনার অ্যাপের একটি অংশ পেইড করা বা মাসিক সাবস্ক্রিপশন চার্জ করতে পারেন যেখানে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট সুবিধা অথবা সেবা অধিক পেতে হবে।

৩. ইন-অ্যাপ কোন ক্রয়: আপনি আপনার অ্যাপে ইন-অ্যাপ কোন ব্যবহারকারীদের ক্রয় করতে দিতে পারেন, যেমন গেমিং অ্যাপের মুল্যায়ন, নতুন লেভেল বা আরও অধিক সুবিধা অনুলভ্য করার জন্য ভূমিকা পরিবর্তন ইত্যাদি।

৪. স্পন্সরশিপ এবং সংযোগস্থল: আপনি আপনার অ্যাপে স্পন্সরশিপ অথবা সংযোগস্থলে যোগদান করতে পারেন যাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অথবা প্রডাক্ট আপনার প্রযুক্তিগত সংস্থা বা সেবা সাথে সংযোগ করতে চান।

৫. ডাটা বিক্রি অথবা লাইসেন্স: আপনি আপনার অ্যাপ বা অ্যাপের ব্যবহারকারীদের ডাটা বিক্রি অথবা লাইসেন্স দিতে পারেন যা আপনাকে অর্থ উপার্জন করতে সাহায্য করতে পারে।

 এই বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে আপনি আপনার অ্যাপের মূল্যবান সামর্থ্য এবং ব্যবহারকারীদের প্রযুক্তিগত প্রযুক্তির মাধ্যমে অবদানের মাধ্যমে ইনকাম উপার্জন করতে পারেন।

 

প্রবন্ধ লেখে

স্মার্টফোন দিয়ে প্রবন্ধ লিখে ইনকাম করা সম্ভব এবং এটি অনেকের জন্য একটি প্রিয় পেশা হতে পারে। এটির কিছু উপায় নিম্নে দেখানো হলো:

১. ব্লগিং প্লাটফর্মে লেখা: আপনি ব্লগিং প্লাটফর্মে প্রবন্ধ লিখে একাউন্ট খুলতে পারেন, যেগুলোর মধ্যে ব্লগার ব্যানার, মেডিয়াম, ওয়ার্ডপ্রেস, টুমবলার ইত্যাদি রয়েছে। এই প্লাটফর্মে আপনি আপনার প্রবন্ধ পোস্ট করতে পারেন এবং আপনার পাঠকগণ দ্বারা পড়ার জন্য অনুমোদন পান। কিছু প্লাটফর্ম আপনাকে তাদের প্রেমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে প্রবন্ধে ইনকাম করার সুবিধা প্রদান করে।

 ২. এ-বুক লেখা: আপনি আপনার প্রবন্ধগুলি ইবুক হিসেবে লিখতে পারেন এবং ইবুক প্লাটফর্মে প্রকাশ করতে পারেন, যেমন কিন্ডল ডায়রেক্ট পাবলিশিং বা অ্যামাজন কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং। আপনি ইবুক বিক্রি করার মাধ্যমে রাজস্ব উপার্জন করতে পারেন।

৩. ওয়েবসাইট সামগ্রী: আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রবন্ধ পোস্ট করে দ্বারা অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ বা ডোনেশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

৪. সাহিত্যিক মানুষের প্রসার: আপনি লেখালেখি সংক্রান্ত কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং তাদের বিপক্ষে বিক্রি করতে পারেন। এটি আপনার প্রবন্ধ লেখার দক্ষতা ও জ্ঞান ভাগাভাগি করতে সাহায্য করতে পারে।

৫. আমাজন সিল্ক প্লাটফর্মে প্রবন্ধ লিখা: আমাজন সিল্ক হলো একটি প্রবন্ধ লেখার প্লাটফর্ম যেখানে আপনি প্রবন্ধ লেখতে পারেন এবং তারা প্রকাশ করতে পারেন। এটি আপনার প্রবন্ধের মাধ্যমে রাজস্ব উপার্জন করার একটি অপশন।

এই সব উপায়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করে প্রবন্ধ লিখতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারেন। তবে, সফল হতে হলে ভালো লেখক হতে হবে এবং আপনার লেখা প্রতিষ্ঠানগুলির মান এবং পাঠকগণের সাথে সংস্থান হতে হবে।

 


 মিউজিক তৈরি করে

স্মার্টফোনের মাধ্যমে মিউজিক তৈরি করে ইনকাম করার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে এখানে কিছু জনপ্রিয় কার্যকরী উপায় বর্ণনা করা হল:

. মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা

আপনি আপনার তৈরি মিউজিক Spotify, Apple Music, Amazon Music, এবং Deezer-এর মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনার মিউজিক স্ট্রিমিং থেকে আপনি রেভেনিউ অর্জন করতে পারেন

. YouTube এবং YouTube Music

YouTube- নিজের চ্যানেল তৈরি করে সেখানে আপনার মিউজিক ভিডিও আপলোড করতে পারেন। YouTube-এর মাধ্যমে আপনি বিজ্ঞাপন থেকে রেভেনিউ অর্জন করতে পারেন। YouTube Music-এও আপনার গান আপলোড করতে পারেন

. মিউজিক সেলিং প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করা

আপনার মিউজিক iTunes, Google Play Music, এবং Bandcamp-এর মতো ডিজিটাল মিউজিক স্টোরে বিক্রি করতে পারেন

. মিউজিক লাইসেন্সিং

আপনার তৈরি মিউজিক বিভিন্ন মিডিয়া প্রোডাকশনে (যেমন: সিনেমা, টিভি শো, বিজ্ঞাপন, গেম) ব্যবহার করার জন্য লাইসেন্স করতে পারেন। এতে আপনি একটি ফি পেতে পারেন এবং রয়্যালটি উপার্জন করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় মিউজিক লাইসেন্সিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে AudioJungle, Pond5, এবং PremiumBeat

. মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ইনকাম

কিছু মোবাইল অ্যাপস যেমন Smule, TikTok, এবং Vigo Video-তে আপনি আপনার মিউজিক শেয়ার করতে পারেন এবং এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে জনপ্রিয় হলে স্পন্সরশিপ ডিল এবং অন্যান্য সুযোগ পেতে পারেন

 আরো পড়ুন : অনলাইন থেকে কি কি উপায়ে ইনকাম করতে পারেন


. ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম

Fiverr, Upwork, এবং Freelancer-এর মতো ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে আপনার মিউজিক প্রোডাকশন সার্ভিস অফার করতে পারেন। এখানে আপনি ক্লায়েন্টের জন্য বিশেষ মিউজিক তৈরি করতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারেন

. প্যাট্রিয়ন (Patreon)

আপনার ফ্যানবেস যদি বড় হয়, তবে আপনি Patreon-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিতে রেগুলার ইনকাম পেতে পারেন। ফ্যানরা মাসিক ভিত্তিতে আপনাকে সমর্থন করবে এবং আপনার এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট অ্যাক্সেস করতে পারবে

. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

Instagram, Facebook, Twitter এবং TikTok-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার মিউজিক প্রচার করতে পারেন এবং স্পন্সরশিপ এবং ব্র্যান্ড ডিল পেতে পারেন

এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি স্মার্টফোনের মাধ্যমে মিউজিক তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন। সফল হতে হলে কনসিস্টেন্সি এবং ক্রিয়েটিভিটি গুরুত্বপূর্ণ 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং করে

স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ পদ্ধতি ও কৌশল তুলে ধরা হলো:

 ১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

*প্ল্যাটফর্ম: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন

*কিভাবে করবেন:

- আপনার ব্যবসার জন্য একটি প্রোফাইল তৈরি করুন।

- নিয়মিত মানসম্মত কন্টেন্ট পোস্ট করুন।

- আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য পেইড অ্যাড ব্যবহার করুন।

- ইন্সটাগ্রামে ইন্সটাগ্রাম শপ এবং ফেসবুকে ফেসবুক শপ ব্যবহার করুন।

 ২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

* প্ল্যাটফর্ম: Amazon Associates, ClickBank, ShareASale

* কিভাবে করবেন:

- একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন।

- আপনার ফোনের মাধ্যমে লিংক শেয়ার করুন।

- আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য প্রচার করুন।

 ৩. ব্লগিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিং

* প্ল্যাটফর্ম: Medium, WordPress, Blogger

* কিভাবে করবেন:

- একটি ব্লগ শুরু করুন।

- বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে লিখুন।

- বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরশিপ থেকে ইনকাম করুন।

- গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করুন আপনার ব্লগ থেকে আয় করার জন্য।

 ৪. ইউটিউব মার্কেটিং

* প্ল্যাটফর্ম: YouTube

* কিভাবে করবেন:

- একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করুন।

- নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন।

- পণ্য রিভিউ, আনবক্সিং, টিউটোরিয়াল ইত্যাদি ভিডিও তৈরি করুন।

- ইউটিউব মনিটাইজেশন ব্যবহার করুন এবং স্পন্সরশিপ থেকে ইনকাম করুন।

 ৫. ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটিং

* প্ল্যাটফর্ম: Upwork, Fiverr, Freelancer

* কিভাবে করবেন:

- একটি ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল তৈরি করুন।

- বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত কাজের জন্য বিড করুন।

- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, SEO, SEM ইত্যাদি সেবা প্রদান করুন।

 ৬. ই-মেইল মার্কেটিং

* প্ল্যাটফর্ম: Mailchimp, ConvertKit, GetResponse

* কিভাবে করবেন:

- একটি ই-মেইল লিস্ট তৈরি করুন।

- নিয়মিতভাবে নিউজলেটার পাঠান।

- প্রোমোশনাল ইমেইলের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা প্রচার করুন।


৭. মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মার্কেটিং

* প্ল্যাটফর্ম: Tiktok, Snapchat

* কিভাবে করবেন:

- মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিয়েটিভ ভিডিও এবং কন্টেন্ট তৈরি করুন।

- ট্রেন্ডি চ্যালেঞ্জ ও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।

- স্পন্সরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিলের মাধ্যমে আয় করুন।

 স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করা বর্তমানে অনেক সহজ এবং কার্যকর। উপরের কৌশলগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই একটি সফল ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

টিউটরিয়াল তৈরি করে

স্মার্টফোনের মাধ্যমে টিউটোরিয়াল তৈরি করে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। এটি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে করা যেতে পারে:

১. বিষয় নির্বাচন করুন: প্রথমে আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহের ভিত্তিতে একটি বিষয় নির্বাচন করুন। এটি হতে পারে কোন কৌশল, শিল্প, কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে টিউটোরিয়াল।

 ২. উপাদান পরিকল্পনা: টিউটোরিয়াল তৈরির জন্য একটি উপাদান পরিকল্পনা করুন। কীভাবে আপনি টিউটোরিয়াল স্ট্রাকচার করবেন, কোন ধরণের ভিডিও, ছবি, বা লেখার ব্যবহার করবেন, এবং কীভাবে আপনি তার সম্প্রচার করবেন তা নির্ধারণ করুন।

 ৩. উপস্থাপনা ও সম্প্রচার: আপনার টিউটোরিয়াল তৈরি করার পর, এটি অনলাইনে সম্প্রচার করার জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন। সাম্প্রতিক সময়ে, YouTube, Udemy, এবং অন্যান্য অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম খুব জনপ্রিয়।

 ৪. প্রচার এবং বিপ্রসরণ: আপনার টিউটোরিয়ালগুলির প্রচার এবং বিপ্রসরণ করার জন্য সামগ্রিক অনলাইন মার্কেটিং পরিকল্পনা করুন। সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন, ইমেইল মার্কেটিং, এবং অনলাইন বিজ্ঞাপন।

 ৫. পেশাদার হোন: আপনার টিউটোরিয়াল সম্পর্কে বিশ্বস্ত এবং সুস্থ রিভিউ প্রাপ্ত হতে হবে এবং নিয়মিত ভাবে নতুন কন্টেন্ট উত্পাদন করা হবে যাতে আপনার দর্শকদের আগামীতে ফিরে আসা যায়।

 এই মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার করে অনলাইনে টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন। এটি সময় নেয় এবং প্রতিবদ্ধতা প্রয়োজন করবে, কিন্তু প্রথমে শুরু করা খুব কম খরচে হয় এবং আপনি স্বতন্ত্র অবস্থানে কাজ করতে পারেন।

 

এপ ইন্সটল করে

স্মার্টফোনের মাধ্যমে এ্যাপ ইনস্টল করে আয় করার একাধিক উপায় রয়েছে:

 ১. অ্যাপ রিভিউ লেখা: অনেক কোম্পানি আপনাকে তাদের প্রোডাক্ট বা এপ্লিকেশনের রিভিউ লেখতে বা রেটিং দেয়ার জন্য পেমেন্ট করতে পারে।

 

২. অ্যাপ টেস্টিং করা: আপনি অ্যাপ্লিকেশনের টেস্টার হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অ্যাপটি পরীক্ষা করে প্রতিপাদন করতে পারেন।

 ৩. এফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি কোন অ্যাপ বা প্রোডাক্ট এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারেন এবং আপনার সাথে যারা আপনার রেফারেল লিংক ব্যবহার করে অ্যাপ ডাউনলোড করে বা কোন কাজ করেন তাদের মূল্যের একটি অংশ পাবেন।

 ৪. বিজ্ঞাপন দেখানো: অ্যাপগুলি বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারে। আপনি যদি কোন অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেখান তাহলে অ্যাপটির প্রতিটি ভিউতে আপনাকে কিছু মূল্যের প্রায় অর্থ পাবেন।

 ৫. সাবস্ক্রিপশন সেল: কিছু অ্যাপ মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে আয় করে। যেমন, মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস বা কোন অনলাইন শিখানো অ্যাপ।

এগুলি মধ্যে যে কোনও উপায়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করে আয় করা যায়। তবে, আপনার আয়ের উত্তরপ্রদানের জন্য নির্ভর করে আপনি কোন মেধাস্থলে আগ্রহী।

-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট বিক্রি করে

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করা হতে পারে এমন একাধিক উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলি হলো:

 ১. প্ল্যাটফর্মে স্টোর খোলা: স্মার্টফোনের মাধ্যমে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যেমন ইবে, আমাজন, ফ্লিপকার্ট, ইবে এবেং, শপিফাই, বিগকমার্স, ইত্যাদি ওয়েবসাইটে নিজের স্টোর খোলা যায়। এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রোডাক্ট আপলোড করে তাদের স্টোরে বিক্রি করতে পারেন। প্ল্যাটফর্ম প্রদানকারী প্রতি বিক্রিত প্রোডাক্ট থেকে কিছু কমিশন নেয়।

 ২. ফুলফিলমেন্ট সার্ভিস: কিছু ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফুলফিলমেন্ট সার্ভিস প্রদান করে, যা ব্যবসার অংশের প্রচার থেকে সরাসরি দায়ী থাকে। এই সেবা ব্যবসার লোকজন দ্বারা কিনা হওয়া প্রোডাক্ট প্যাক করে, শিপ করে, গ্রাহক সাপোর্ট প্রদান করে এবং প্রদানকারী মূল্য প্রদান করে।

৩. আফিলিয়েট মার্কেটিং: আফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অন্যত্র বিপণনের উপায় যেখানে আপনি অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে তার বিপণনে সাহায্য করেন এবং গ্রাহককে আপনার প্রচারণা থেকে ক্রয় করতে অনুপ্রেরণা দেন। প্রতিষ্ঠান বিক্রিত প্রোডাক্টের বিপণন জন্য আপনাকে একটি কমিশন দেবে।

৪. নিজস্ব ব্র্যান্ড নির্মাণ: নিজস্ব ব্র্যান্ড গঠন এবং প্রোডাক্ট তৈরি করে স্মার্টফোন এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি বিক্রি করা যেতে পারে। নিজস্ব ব্র্যান্ড নির্মাণে লগো, প্যাকেজিং, এবং প্রচারণা এমন প্রাথমিক বিষয়গুলির উপর মনোনিবেশ করা হয়।

এই উপায়গুলির মাধ্যমে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। তবে, বিপণন পরিবেশে প্রতিস্থান ও লক্ষ্য বিশিষ্ট স্ট্রাটেজি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

(সমাপ্ত)

 

 

Post a Comment

0 Comments